Snapchatter-দের নিজেদের মতামত তুলে ধরার জন্য এবং আমাদের ও তাদের-ভবিষ্যত গড়তে অংশ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া
29 অক্টোবর, 2021
Snapchatter-দের নিজেদের মতামত তুলে ধরার জন্য এবং আমাদের ও তাদের-ভবিষ্যত গড়তে অংশ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া
29 অক্টোবর, 2021
তরুণ-তরুণীদের ক্ষেত্রে আরও সহজে ভোট দেওয়ার জন্য আমরা যে টেকনলজি তৈরি করছি, যে বিষয়গুলো তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এমন ব্যাপারে নিজেদেরকে সচেতন করে তোলা এবং চাইলে আমাদের "Run for Office Mini"-এর মাধ্যমে নিজেদের কমিউনিটিতে ভালো কিছু করতে চাইলে, স্থানীয় সরকারি প্রশাসনে কীভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়, সে ব্যাপারে প্রথম ইন্টারনেট যুগ থেকে Knight Foundation-এর ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়াম পাঠ্যক্রমের অংশ হিসাবে Snap-এর CEO ইভান স্পিগেল আজ একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
আপনি নিচে ইভানের সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়তে পারেন, যা প্রথমে Knight Foundation প্রকাশ করেছিল।
***
এক দশকেরও কিছুটা আগে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কো-ফাউন্ডার ববি মার্ফির সাথে আমার দেখা হয়েছিল। আমি তখন সদ্য এসেছিলাম প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করতে। ববি আমার থেকে জুনিয়র ছিলেন, তিনি ম্যাথেমেটিক্যাল এবং কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি অর্জনের জন্য পড়াশোনা করছিলেন। একসাথে আমাদের প্রথম প্রজেক্টের নাম ছিল "Future Freshman", যা আমরা মনে করেছিলাম যে হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে কীভাবে পড়াশোনা করেন, তা চিরতরে বদলে দেবে। সেটা আমাদের ভুল ধারনা ছিল এবং এটা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়। তবে আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার শিখেছিলাম - সেটা হলো যে আমরা একসাথে কাজ করতে পছন্দ করি।
তার কিছু পরেই, আমরা একটা বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করি, যা পরে Snapchat-এ পরিণত হয়। সেই সময় অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। তবে সেগুলোতে আমাদের বন্ধুবান্ধবরা নিজেদের প্রকৃত দিকটি তুলে ধরার জন্য তেমন কোনো জায়গা পাননি। আমরা এমন একটা কিছু তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যেখানে লোকজন তাদের বন্ধুদের সাথে সম্পূর্ণ আবেগ দিয়ে নিজেদের মনের কথা খুলে বলতে পারবেন-বিষয়টা শুধু সামনে যা দেখছি বা বাঁধাধরা ছকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাই আমারা সেই সময় অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের চেয়ে আলাদাভাবে Snapchat-এর ডিজাইন করেছিলাম: আমাদের অ্যাপ ক্যামেরা দিয়ে খুলত, যা লোকজনকে নিউজফিডে ব্যাপকভাবে কনটেন্টের প্রচার করার আমন্ত্রণ জানানোর বদলে, নিজেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে কথা বলতে সাহায্য করত।
আমাদের শুরুর দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকালে, যখন খুব কম লোকজন আমাদের অ্যাপের ব্যাপারে বুঝতেন, তখন বলতে হয় আন্দাজ করতে পারিনি যে Snapchat কমিউনিটি কতটা বড় হয়ে উঠবে। আজ সমগ্র বিশ্বে, প্রতি মাসে 500 মিলিয়নের বেশি মানুষ Snapchat ব্যবহার করেন। আমাদের ব্যবসা বাড়লেও একটা জিনিসে কোনো পরিবর্তন হয়নি, সেটা হলো আমাদের কমিউনিটির জন্য সমস্যা সমাধানের ইচ্ছা। এই দৃঢ় ইচ্ছা এবং আমাদের টিমের কৌতূহলী মানসিকতা এবং সৃজনশীলতার কারণে আমরা আমাদের সবচেয়ে সফল কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছি-যার মধ্যে রয়েছে ক্ষণস্থায়ীতা, স্টোরি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির মূল ফিচার।
আমরা এটাও মনে করি যে ভোট দেওয়ার অধিকার হলো আমাদের মতামত জানানোর একটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের কমিউনিটির সদস্যদের কাছে সেটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ-যারা আমেরিকান গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করছেন। এই আবেগ এবং সমস্যা সমাধান করার মানসিকতার কারণে আমরা এমন টেকনলজি তৈরি করার ওপর নজর দিয়েছিলাম, যা তরুণ-তরুণীদের কাছে ভোট দেওয়াকে আরও সহজ করে তুলবে, তাদের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয়ে তাদেরকে সচেতন করবে, জনপ্রতিনিধিদেরকে দায়বদ্ধ করে তুলবে এবং নির্বাচনে দাঁড়াতেও সাহায্য করবে।
Snapchatter-রা সব সময় অংশগ্রহণের ব্যাপারে এবং নিজেদের কমিউনিটিতে ভালো কিছু করার জন্য আগ্রহী। তবে তরুণ ভোটারদের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে পারেনি। তরুণ-তরুণীরা নিজেদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়ে যেভাবে আগ্রহের সাথে অংশগ্রহণ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে সমান উৎসাহ দেখাননি-নিজের ফোনের মাধ্যমে এবং নিজেদের বন্ধুদের সাথে। তরুণ-তরুণী, নব্য বা প্রথমবারের ভোটারদের জন্য - যারা সাধারণত কলেজ ক্যাম্পাসে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে জানতে পারেন অথবা যারা কলেজে যান না, তাদেরকে অনেক ক্যাম্পাস সিভিক পরিকাঠামোর সুবিধা দিতে পারে না-তাই তারা যেখানে রয়েছেন, সেখানেই তাদের কাছে পৌঁছানো, আগের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 2020 সালের নির্বাচনের সময়, যখন কোভিড-19 এর কারণে সরাসরি হাজির হয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি হয়, তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে মোবাইল-প্রথম অভিজ্ঞতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
Snapchat মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 13-24 বছর বয়সী 90 শতাংশ লোকজনের কাছে পৌঁছাতে পারে, যা এই এজ গ্রুপের সদস্যদেরকে নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করার ভালো সুযোগ দেয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণকে আরও সহজ করে তোলে। 2016 সাল থেকে আমরা টেকনলজিক্যাল বাধা দূর করার জন্য অনেক মোবাইল টুল তৈরি করেছি এবং ভোটিং প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরের মাধ্যমে Snapchatter-দেরকে সাহায্য করেছি- যার মধ্যে রয়েছে ভোটার রেজিস্ট্রেশন, ভোটার শিক্ষা এবং ভোটারের অংশগ্রহণ। সাম্প্রতিক নির্বাচন চক্রে আমরা "TurboVote" এবং "BallotReady"-এর সাথে পার্টনারশিপ তৈরি করেছি, যাতে Snapchatter-দেরকে ভোট দিতে, তাদের নমুনা ব্যালট দেখতে এবং তাদের ভোটদান কেন্দ্র খুঁজে পেতে সাহায্য করে এবং তারপর তাদের বন্ধুবান্ধবদেরকেও যাতে এই কাজে উৎসাহ দেওয়া যায়। আমরা একটি ভোটার গাইড চালু করেছি, যা NAACP, ACLU, "When We All Vote", "Lawyers’ Committee for Civil Rights Under Law", "Latino Community Foundation" এবং "APIAVote"-এর রিসোর্সের সাথে Snapchatter-দেরকে সংযুক্ত করে।
এই কাজটি বেশ উৎসাহজনক: শুধুমাত্র 2020-তে আমাদের টিম, 1.2 মিলিয়নেরও বেশি Snapchatter-কে ভোট দেওয়ার জন্য রেজিস্টার করতে সাহায্য করেছে। টাফ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড রিসার্চ অন সিভিক লার্নিং অ্যান্ড এনগেজমেন্ট (CIRCLE)-এর ডেটা অনুযায়ী, 2020 সালে আমরা যে Snapchatter-দেরকে রেজিস্টার করতে সাহায্য করেছিলাম, তাদের অর্ধেক ছিলেন প্রথম-বারের ভোট এবং 80 শতাংশেরও বেশির বয়স ছিল তিরিশ বছরের মধ্যে।
তবে আমরা এটাও জানি যে পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের উৎসাহ দেওয়ার কাজটা ধারাবাহিক হতে হবে - শুধুমাত্র হাই প্রোফাইল নির্বাচনের জন্য নয়। তাই আমরা এমন একটা ফিচার তৈরি করেছি, যেটা Snapchatter-দেরকে তাদের আঠারোতম জন্মদিনে ভোট দেওয়ার জন্য রেজিস্টার করতে প্রম্পট করে। আরও বৃহত্তরভাবে বলতে গেলে, আমাদের ভোটার এনগেজমেন্ট টুলগুলো সারা বছর উপলভ্য থাকে এবং আমাদের আশা হলো যে সিভিক এনগেজমেন্টের মাধ্যমে সারা জীবনের জন্য নিজের মতামত তুলে ধরার একটা মঞ্চ তৈরি করতে এগুলো সাহায্য করবে।
আগামীতেও আমরা Snapchatter-দের থেকে পাওয়া ফিডব্যাক অনুযায়ী উদ্ভাবন চালিয়ে যেতে চাই। 2020 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর, আমরা Snapchatter-দের কাছ থেকে শুনেছি যে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, এমন বিষয় নিয়ে পর্যাপ্ত প্রার্থী নির্বাচনের ময়দানে না নামায় তারা হতাশ। এটা যুক্তিযুক্ত। প্রতিনিধিত্ব করা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তবে অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে, কোনো প্রশাসনিক অফিসের জন্য ভোটে দাঁড়ানো একটা অবাস্তব, বিভ্রান্তিকর এবং আর্থিকভাবে অবান্তর বলে মনে বয়। দ্য ন্যাশনাল কনফারেন্স অব স্টেট লেজিসলেচার (NCSL)-এর তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণ করা রাজনৈতিক নেতারা আমেরিকার আইনসভায় সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক শেয়ারের প্রায় দুই গুণ সদস্য রয়েছে। তাই যারা শাসন করছেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের যে আমেরিকানরা প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাদের মধ্যে গ্যাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এছাড়া "Pipeline Initiative"-এর তথ্য অনুযায়ী, অর্ধেকের বেশি প্রার্থীকে তাদের বিশ্বস্ত বন্ধুরা উৎসাহ দেওয়া বা নিয়োজিত না করা পর্যন্ত তারা অংশগ্রহণ করার কথা ভাবেননি।
Snapchatter-দের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, এমন বিষয় বা সমস্যার ব্যাপারে নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করে স্থানীয় কমিউনিটির কল্যাণের জন্য কাজ করার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তুলতে আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করতে চাই। সম্প্রতি, আমরা Snapchat-এ একটা নতুন ফিচার লঞ্চ করেছি, যেটা তরুণ-তরুণীদেরকে তাদের কমিউনিটিতে আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে বিশদে জানতে এবং নেতৃত্ব হিসাবে তারা কোনো বন্ধুকে দেখতে চাইলে, তাকে মনোনীত করতে সাহায্য করবে। স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা অনুযায়ী, Snapchatter-রা স্থানীয় সুযোগগুলো এক্সপ্লোর করতে পারেন, প্রতিটি পজিশনের বিশদ তথ্য জানতে পারেন এবং প্রচারের একটি সেন্ট্রালাইজড ড্যাশবোর্ড তৈরি করতে পারেন, যেটিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসটি সফলভাবে পরিচালনা করার আগে প্রার্থীদেরকে যে যে বিষয়গুলো অর্জন করতে হবে, তার একটা “চেকলিস্ট”। আমরা প্রথমে দশটি প্রার্থী নিয়োগ সংক্রান্ত সংগঠনের একটি দ্বিদলীয় গ্রুপের সাথে পার্টনারশিপ তৈরি করেছিলাম, যারা সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স দিয়ে সাহায্য করে, যার মধ্যে রয়েছে নেতৃত্ব সংক্রান্ত কর্মশালা এবং প্রচারের প্রশিক্ষণ। বন্ধুদের থেকে উৎসাহ এবং এই পার্টনার সংগঠনগুলোরক প্রশিক্ষণের ফলে আমরা এটা Snapchatter-দের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ও তাদের মতামত তুলে ধরার একটা মজার এবং তাৎপর্যপূর্ণ উপায় হিসাবে দেখি।
প্রতিদিন আমাদের অ্যাপে আমরা দেখতে পাই যে Snapchat প্রজন্ম তাদের অবিশ্বাস্য আবেগ, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দেখাচ্ছেন, যা বিশ্বকে একটা আরও ভালো জায়গা হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করছে। সাধারণত তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা যে কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে এতদিন দূরে থেকেছেন, তা দূর করার জন্য আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব এবং আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের-এবং তাদের-ভবিষ্যৎ প্রস্তুত করতে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে ও ভূমিকা পালন করতে প্রয়োজনীয় সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর।