স্কুলে ফিরে যাওয়া এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যার অভিযোগ দাখিলের গুরুত্ব
3 সেপ্টেম্বর, 2024
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখন স্কুলে ফিরে যাওয়ার সময় এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও পরিষেবাগুলিতে নিরাপত্তা সম্পর্কিত উদ্বেগের রিপোর্ট নিয়ে কিশোর-কিশোরী, মা-বাবা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এর চেয়ে ভালো সময় আর কী হতে পারে।
দুর্ভাগ্যবশত, বিগত কয়েক বছর ধরে রিপোর্টিং বা অভিযোগ দাখিলের বিষয়টির একটু “বদনাম” হয়েছে, তার কারণ কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা সমস্যাজনক বিষয়বস্তুর সংস্পর্শে আসা বা অনলাইনে আচরণকে স্বাভাবিক ব্যাপার হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বা রিপোর্টিংয়ের বিষয়টিকে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার ব্যাপারে গোপনে বলার সঙ্গে তুলনা করছেন। সেই ভাবনা বা প্রবণতাগুলো ডেটা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সর্বশেষ ডিজিটাল সুস্থতা গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে যে যদিও এই বছর আরও বেশি কম-বয়সী প্রাপ্তবয়স্করা অনলাইনে কোনো ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়ার পর সেই অভিজ্ঞতার ব্যাপারে কারুর সঙ্গে কথা বলেছেন বা পদক্ষেপ নিয়েছেন, পাঁচজনের মধ্যে মাত্র একজন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বা পরিষেবাতে সেই ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সেবা থেকে কুকর্মকারীদের সরাতে এবং তাদের কার্যকলাপ থেকে অন্যদের ক্ষতি হওয়ার আগে বাধা দিতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে সমস্যাজনক বিষয়বস্তু ও অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে ছয়টি দেশের জেনারেশন জেডের 60% কিশোর-কিশোরী এবং কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক, 1যারা যে কোনো প্ল্যাটফর্মে বা পরিষেবাতে গিয়ে একটা অনলাইনের ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছেন – তা শুধুমাত্র Snapchat-এ নয় – তারা সংশ্লিষ্ট ঘটনার পর কারোর সঙ্গে কথা বলেছেন বা সাহায্য চেয়েছেন। এই সংখ্যাটা 2023 সালের তুলনায় নয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও মাত্র 22% অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা পরিষেবার সমস্যার ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং শুধুমাত্র 21% হটলাইন বা হেল্পলাইনে অভিযোগ জানিয়েছেন, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়েটেড চিলড্রেন (NCMEC) বা যুক্তরাজ্যের ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন (IWF)। সতেরো শতাংশ লোকজন আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত, অন্য 17% কাউকে জানাননি যে আদতে কী ঘটেছে।
কম বয়সী লোকজন কেন কারোর সঙ্গে কথা বলতে বা অভিযোগ দাখিল করতে আগ্রহী নন? ডেটা থেকে দেখা গিয়েছে যে 62% – যা কিশোর-কিশোরীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (65%) এবং কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের 60% – জানিয়েছেন যে তারা মনে করেননি সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি একটা সমস্যা হতে পারে এবং তারা বরং ধরে নিয়েছেন যে সেটা এমন একটা ঘটনা যা “অনলাইনে থাকা লোকজনদের সঙ্গে সর্বদা ঘটে থাকে।” এক চতুর্থাংশ (26%) জানিয়েছেন যে তাদের মনে হয়নি কুকর্মকারীদের কোন শাস্তি হবে। অভিযোগ না জানাতে পারার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লজ্জা, অপরাধবোধ বা অপ্রস্তুতবোধ (17%); লোকজন খারাপ ভাববে এই ভয় (15%); বন্ধু বা পরিবারের সদস্য যাতে “সমস্যায় না পড়েন” তা মাথায় রাখা (12%)। এই বিষয়টি এবার কম বয়সী লোকজনের অনলাইন কনটেন্ট মডারেশনের মূল্যায়নের প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসে: এক তৃতীয়াংশ জবাব প্রদানকারী জানিয়েছেন যে তারা মনে করেন না কুকর্মকারীরা শাস্তি পাবে, তবুও প্রত্যেক 10 জনের মধ্যে এক জনের বেশি বলেছেন যে তারা চান না যে নিয়ম লঙ্ঘনকারী আচরণের জন্য তাদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। অল্প সংখ্যক লোকজন সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য নিজেদেরকে দোষ দিয়েছেন (10%) বা কুকর্মকারীদের থেকে প্রতিহিংসামূলক আচরণের আশঙ্কা করেছেন (7%)।
Snapchat-এ অভিযোগ পেশ
2024-এ এবং তার পরেও, আমরা বদ্ধমূল ধারণাগুলোকে ভ্রান্ত প্রমাণ করতে চাই এবং Snapchat-এ অভিযোগ পেশ করার বিষয়টি নিয়ে মনোভাব বদল করতে চাই এবং এই ব্যাপারে আমরা আমাদের নতুন ডিজিটাল সুস্থতার জন্য কাউন্সিল (CDWB)-এর থেকে সাহায্য চাইছি, যে সংগঠনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে 18 জন কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, তাদের স্কুল ও কমিউনিটিতে অনলাইন সুরক্ষা ও ডিজিটাল সুস্থতার প্রচারে সাহায্য করতে তাদেরকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা জেরেমি একজন CDWB-এর 16 বছর বয়সী সদস্য, বলেন, “গোপনীয়তা এবং ব্যবহারকারীর সুরক্ষার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে”। “অভিযোগ করার বোতামটি সেই সূক্ষ্ম লাইনটিকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। এটি Snapchat-কে সবার গোপনীয়তা রক্ষার পাশাপাশি সবার জন্য এটিকে আরও নিরাপদ জায়গা করে তোলে। তাই যখনই প্রয়োজন হবে তখনই প্রত্যেকেরই উচিত অভিযোগ দাখিল করার বোতামটি ব্যবহার করা – যাতে Snapchat-কে একটি আরও নিরাপদ জায়গা গড়ে তুলতে সাহায্য করা যায়।”
জোশ, CDWB-তে থাকা ক্যালিফোর্নিয়ার আর এক কিশোর সম্মত হয়েছেন, যে কোনো প্ল্যাটফর্মে বা পরিষেবাতে অভিযোগ দাখিলের তিনটি প্রাথমিক সুবিধা হাইলাইট করেছেন: অবৈধ এবং সম্ভাব্য ক্ষতিকর কন্টেন্ট ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে; ছদ্মবেশধারণকারী ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দিতে; এবং গুজব বা ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে সাহায্য করতে। উভয় কিশোরই পরবর্তী বছরে তাদের CDWB অভিজ্ঞতাতে অভিযোগ দাখিলের গুরুত্ব তুলে ধরছেন।
যখন Snapchat-এর কথা মাথায় আনা হয়, তখন যদিও গবেষণায় হাইলাইট করা অনেক উদ্বেগ আদতে প্রযোজ্য হয় না। যেমন, আমাদের পরিষেবাতে অভিযোগ দাখিল করার বিষয়টি গোপনীয়। যে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তাকে আমরা জানাই না যে কে তার কন্টেন্ট বা আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া আমরা যখন অভিযোগ পাই এবং যারা আমাদেরকে কনফার্ম করা ইমেল অ্যাড্রেস দিয়েছেন, তাদেরকে আমরা স্বীকৃতি জানাই, আমরা অভিযোগকারীকে জানিয়ে দিই যে তাদের জমা দেওয়া অভিযোগ আদতে নীতি লঙ্ঘন করেছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে কি না। এগুলো সবই আমাদের অ্যাপে কোন আচরণ এবং কন্টেন্ট অনুমোদিত ও কোনগুলো নিষিদ্ধ, সে ব্যাপারে আমাদের কমিউনিটিকে শিক্ষিত করে তুলতে সাহায্য করার বর্তমান প্রচেষ্টার অংশ। এছাড়া, গত মাসে আমরা “আমার অভিযোগ” নামে একটা নতুন ফিচার রিলিজ করেছি, যেটি সব Snapchatter-কে গত 30 দিনে জমা দেওয়া তাদের ট্রাস্ট এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত ইন-অ্যাপ খারাপ আচরণ বা অপব্যবহারের রিপোর্টের স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে সহায়তা করে। “সেটিংস”-এ গিয়ে “আমার অ্যাকাউন্ট”-এর অধীনে, শুধু নিচে স্ক্রোল করে “আমার অভিযোগ” যান এবং দেখার জন্য ক্লিক করুন।
নিষিদ্ধ কন্টেন্ট এবং কার্যকলাপের বিশদ বিবরণ আমাদের কমিউনিটির নির্দেশিকাতে উল্লেখ করা আছে এবং আমরা সব সময় নির্ভুল ও সঠিক সময়ে অভিযোগ দাখিলের জন্য উৎসাহ দিই। Snapchat-এর মতো একটি ব্যক্তিগত মেসেজিংয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া একটি অ্যাপে কমিউনিটির অভিযোগ দাখিল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সমস্যা যে ঘটছে, সেটা না জানা পর্যন্ত আমরা সেটির সমাধান করতে পারব না। এবং, আমাদের CDWB সদস্যরা যেমনটা উল্লেখ করেছেন, অভিযোগ দাখিল করলে তা শুধুমাত্র সম্ভাব্য নিয়ম লঙ্ঘন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে তাই শুধু নয়, তার পাশাপাশি অনুরূপ কুকর্মকারী(দের) হাত থেকে অন্যান্য ভুক্তভোগীদের রক্ষা করা সম্ভব করে তোলে। Snap-এ, আমরা অভিযোগ দাখিল করাকে একটা “কমিউনিটি পরিষেবা” বলে মনে করি। Snapchatter-রা কেবল কন্টেন্টের একটি অংশ টিপে এবং ধরে রেখে বা আমাদের সহায়তা সাইটে এই ফর্মটি পূরণ করে ইন-অ্যাপ রিপোর্ট করতে পারে।
মা-বাবা, পরিচর্যাকারী, শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং স্কুল কর্মকর্তারা পাবলিক ওয়েবফর্মটি কাজে লাগাতে পারেন এবং যারা আমাদের পেরেন্টাল টুলের ফ্যামিলি সেন্টার স্যুট ব্যবহার করেন, তারা ফিচারটিতে গিয়ে সরাসরি উদ্বেগ সৃষ্টিকারী অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এছাড়া, স্কুল কর্তৃপক্ষ যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সুস্থ ও সহায়তামূলক ডিজিটাল পরিবেশকে আরও মজবুত করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আমরা Snapchat-এ সম্প্রতি এই শিক্ষক/শিক্ষিকার নির্দেশিকা লঞ্চ করেছি। আপনার Snapchat অ্যাকাউন্ট থাকুক বা নাই থাকুক, তা নির্বিশেষে কীভাবে অভিযোগ দাখিল করতে হয়, সে ব্যাপারে বিশদ তথ্যের জন্য এই ফ্যাক্ট শিটটি দেখুন।
ইতিবাচক অনলাইন অভিজ্ঞতার প্রচার করা
Snapchat-এ এবং প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম জুড়ে আরও নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং আরও ইতিবাচক অভিজ্ঞতা গড়ে তোলাটা Snap-এ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং আমাদের কমিউনিটির সুরক্ষা ও সুস্থতার থেকে কোনো কিছুই বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে এবং আমাদের বর্তমান গবেষণায় প্রাণশক্তি জোগাতে Snapchatter-দের এবং যারা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, তাদের মনোভাব ও আচরণ আরও ভালোভাবে বুঝতে পারাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমদের সর্বশেষ ডিজিটাল সুস্থতা সূচক সহ আমাদের তিন বছরের গবেষণার সম্পূর্ণ ফলাফল 'ইন্টারন্যাশনাল সেফার ইন্টারনেট ডে 2025-এর সঙ্গে প্রকাশ করা হবে। অনলাইনে সুরক্ষিত থাকার গুরুত্বের ব্যাপারে পরিবার এবং স্কুল কমিউনিটিকে মনে করিয়ে দিতে স্কুলে-ফিরে যাওয়ার টাইমফ্রেমের প্রাথমিক পর্যায়ের ফলাফল আমরা শেয়ার করছি।
'সেফার ইন্টারনেট ডে 2025' উপলক্ষ্যে 11 ফেব্রুয়ারিতে বা তার আগের মাসগুলোতে আমরা আরও তথ্য শেয়ার করব। ততদিন পর্যন্ত, স্কুলে ফিরে গিয়ে অনলাইনের সুরক্ষার ব্যাপারে প্রচার করা যাক এবং Snapchat বা অন্য কোনো অনলাইন পরিষেবাতে উদ্বেগজনক কিছু দেখলেই, সেই প্রসঙ্গে অভিযোগ দাখিলের জন্য প্রস্তুত এবং ইচ্ছুক থাকুন।
— জ্যাকলিন এফ. বিউচেরে, প্ল্যাটফর্ম সেফ্টির গ্লোবাল হেড